বালকের ওপর সর্বাধিক প্রভাব পড়ে তার মায়ের জীবন এবং তাঁর শিক্ষার। আদর্শ মায়েরা পুত্রদের শ্রেষ্ঠ এবং আদর্শ বানায়।
মাতা অঞ্জনা নিজের প্রাণপ্রিয় পুত্র হনুমানের লালন-পালন বড়ই মনোযোগ সহকারে করতেন।
লংকা যুদ্ধের সমাপ্তির পর শ্রীরাম সমস্ত বানর এবং রাক্ষসদের সাথে অযোধ্যার দিকে পুষ্পক বিমানে চড়ে গমন করলেন।
রাম এবং রাবণের সেনাদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছিল। লক্ষ্মণ রাবণের পুত্র মেঘনাদের সামনে যুদ্ধরত ছিল।
একবার অর্জুন ভগবান শঙ্করের তপস্যা করতে হিমালয়ের জঙ্গলে চলে গিয়েছিলেন এবং শিবের ঘোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন।
একবার হনুমান নিজের প্রভু শ্রীরামের থেকে নিজের মাতা অঞ্জনার সাথে দর্শন হেতু যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইলেন। প্রভু তাঁকে সহর্ষে অনুমতি প্রদান করলেন।
প্রাতঃকালের সময় ছিল, হনুমান শ্রী রামের ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। শরীর-মনের কোন জ্ঞান ছিল না।
হনুমান বড়ই আশ্চর্য হয়েছিলেন। এখনো পর্যন্ত শ্রী রাম কখনোই কোন কথাতে তাঁকে “না” বলেন নি।
বালক হনুমান বড়ই চঞ্চল এবং দুষ্টু ছিলেন। একে তো প্রলয়ঙ্কর শঙ্করের অবতার, দ্বিতীয়তঃ কপি-শাবক, তারপর দেবতাদের দ্বারা প্রদত্ত অমোঘ বরদান।
দ্বাপর যুগে অর্জুন ভগবান শিবের তপস্যা করে তাঁকে প্রসন্ন করেছিলেন এবং তাঁর থেকে পাশুপত নামক অমোঘ অস্ত্র নিয়ে যখন হিমালয়ে পৌঁছেছিলেন তখন জঙ্গলে তাঁর সাথে এক বানরের দেখা হয়।